দীর্ঘ ১ বছর বিরতির পর ৩০ মার্চ খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে তাই যশোরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ।
প্রায় এক বছরের বন্ধদশা শেষে ৩০ মার্চ থেকে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবার প্রাণবন্ত হবে প্রিয় বিদ্যাপীঠ। তাই সব জঞ্জাল দূর করতে বেশ ব্যস্ততা যশোর সহ দেশের প্রায় সব বিদ্যালয়গুলোতে।
এবারের প্রস্তুতিটা বেশ ভিন্নরকম। কেননা, শুধু অবকাঠামো পরিষ্কারই নয়, করোনা সংক্রমণের শঙ্কা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি।
স্কুলের সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। বাচ্চাদের জ্বর মাপার জন্য থার্মোমিটার, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণও রাখা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, যশোরে ১২৮৯টি প্রাথমিক ও ৯৩৬টি মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ২০ হাজার।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল খালেক বলেন, স্কুল প্রথম দিন খুললে যেন একজন চিকিৎসক ওই স্কুল সম্পর্কে কনসার্ন থাকে। যাতে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়। সবশেষ ২৭ ফেব্রুয়ারি স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী।