ভারতীয় ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আই লিগে ফিরে সুপার সিক্স পর্বে খেলছে কলকাতা মোহামেডান। সোমবার (১৫ মার্চ) তৃতীয় ম্যাচে চার্চিল ব্রাদার্সের বিপক্ষে খেলবে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। চতুর্থ ও শেষ ম্যাচটি ২১ ও ২৭ মার্চ। কিন্তু জাতীয় দলের সঙ্গে নেপাল যাওয়ায় মোহামেডানের হয়ে শেষ দুটি ম্যাচ খেলা হবে না জামাল ভূঁইয়ার।
গেল ডিসেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন জামাল। যদিও সুস্থ হয়ে কলকাতা মোহামেডানের সঙ্গে দেরি করে যোগ দেয়ায় মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হয় তার। তবে দলের হয়ে মধ্যমাঠে দেখিয়েছেন ষোলোআনা মুন্সিয়ানা।
ম্যাচ পূর্ববর্তী অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে, কলকাতা মোহামেডানের জার্সিতে অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। জামাল ভূঁইয়া বলেন,কঠিন সময়ে আমি এসেছিলাম। কারণ আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম। দলে আমি ছিলাম নতুন। আবার অনুশীলন ম্যাচ খেলার তেমন সুযোগ পাইনি। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। আমি এখানে আসতে পেরে খুবই গর্বিত।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়ার প্রশংসা করেন কলকাতা মোহামেডানের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জামাল একজন ভালো মানুষ ও একজন ভালো খেলোয়াড়। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চলে যাওয়ায় সোমবার তার শেষ ম্যাচ। আমরা তাকে মিস করব।
প্রায় সাত বছর পর আই লিগে ফিরে সুপার সিক্সে উঠেছে মোহামেডান। ইনজুরির কারনে একটি ছাড়া সব ম্যাচই খেলেছেন জামাল। দলের হয়ে কোন গোল করতে না পারলেও, জামালের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। মিডফিল্ডার জামাল কলকাতা মোহামেডানেও খেলেছেন পছন্দের ভূমিকায়। এই ভূমিকায় কলকাতায় জামাল এতটাই ভালো খেলেছেন যে কোচ শঙ্করলাল তার পারফরম্যান্স ভুলতেই পারছেন না।
শঙ্করলাল বলেন, আমরা দলে নেতা খুঁজি। সে যদি মাঝমাঠের খেলোয়াড় হয়, তাহলে পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হয়। জামাল মুখে কথা বলে দলটাকে খেলাচ্ছে। পায়ে ফুটবল নিয়ে খেলাচ্ছে। দলে এ রকম ছেলে বেশি থাকলে সাফল্য পেতে সুবিধা হয়।
এদিকে, আই লিগের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলের পার্থক্য করতে গিয়ে জামাল বলেন, আমি মনে করি না তেমন পার্থক্য আছে। স্থানীয় খেলোয়াড়েরা প্রায় একই রকম। তবে আমি মনে করি বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের ফুটবলে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়।